অহংকার নিয়ে ইসলামিক উক্তি: মানুষের স্বভাবজাত দুর্বলতাগুলোর মধ্যে অহংকার বা আত্মগরিমা হলো সবচেয়ে ক্ষতিকারক। এটি শুধু সামাজিক সম্পর্ককেই নষ্ট করে না, বরং এটি এমন একটি মারাত্মক আধ্যাত্মিক রোগ, যা সরাসরি আল্লাহ তাআলার সাথে বান্দার সম্পর্ককে ছিন্ন করে দেয়।
অহংকার শয়তানের প্রথম পাপ, যা তাকে আল্লাহর আদেশ অমান্য করতে প্ররোচিত করেছিল এবং জান্নাত থেকে বহিষ্কারের কারণ হয়েছিল।
এই পোস্টে আপনি পাবেন অহংকার নিয়ে ইসলামিক উক্তি, হাদিসের বাণী, এবং হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া ইসলামিক স্ট্যাটাস, যা মনকে সতর্ক করবে, বিনয়ের গুরুত্ব শেখাবে এবং সঠিক চরিত্র গঠনে অনুপ্রেরণা দেবে।
অহংকার নিয়ে ইসলামিক উক্তি
“অহংকার হলো এমন আগুন, যা তোমার সমস্ত নেক আমলকে জ্বালিয়ে ছাই করে দেয়।”
“যার অন্তরে বিন্দু পরিমাণ অহংকার থাকবে, সে কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না।” — (সহীহ মুসলিম, হাদিস নং-৯১)
📌আরো পড়ুন👉সম্মান নিয়ে ইসলামিক উক্তি
“অহংকারী ব্যক্তি কখনোই নিজের ভুল দেখতে পায় না, তাই সে সংশোধনের সুযোগ হারায়।”
“অহংকার জ্ঞানকে গ্রাস করে, আর বিনয় জ্ঞানের আলো ছড়ায়।”
“আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশি অপছন্দের ব্যক্তি হলো সেই অহংকারী, যে নিজেকে বড় মনে করে।”
“অহংকার হলো পতনের মূল; উচ্চতা লাভের পথ নয়।”
“সম্পদ বা ক্ষমতা নয়, বরং বিনয়ই হলো মানুষের আসল মর্যাদা।”
“অহংকারী ব্যক্তি দুনিয়াতেও সম্মানিত হয় না, আখিরাতেও লাঞ্ছিত হবে।”
“যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে দুনিয়া ও আখিরাতে সম্মানিত করেন।”
“বিনয়ী হও, কারণ আল্লাহ বিনয়ীদের ভালোবাসেন এবং অহংকারীদের ঘৃণা করেন।”
“নিজের ভুল স্বীকার করার সাহস থাকা অহংকার থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রথম পদক্ষেপ।”
“যে মানুষ বিনয়ী হয়, আল্লাহ তার মর্যাদা উঁচু করেন।”
“অহংকার মানুষকে মানুষ হতে দেয় না, বরং তাকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেয়।”
“নামাজে দাঁড়িয়ে অহংকার করলে, সে নামাজ আল্লাহর দরবারে পৌঁছায় না।”
“অহংকার মানে নিজের দুর্বলতা ভুলে যাওয়া আর আল্লাহর শক্তি অস্বীকার করা।”
“অহংকারের জায়গায় বিনয় আনলে, হৃদয় শান্তি পায়।”
“কিবর বা অহংকার হচ্ছে আল্লাহর প্রিয় বান্দা হওয়ার পথে সবচেয়ে বড় বাধা।”
“আল্লাহ অহংকারীকে অপছন্দ করেন, কিন্তু বিনয়ীদের প্রতি দয়া করেন।”
“যে ব্যক্তি বলে “আমি সেরা”, সে আসলে নিজের অজান্তেই পতনের দিকে যাচ্ছে।”
“কুরআনে বলা হয়েছে “নিশ্চয়ই আল্লাহ অহংকারীদের পছন্দ করেন না।”
“কবরের মাটিতে সবাই মিশে যাবে, তখন অহংকারের কোনো মানে থাকবে না।”
“যে দুনিয়াতে অহংকার করে, আখিরাতে সে মাথা নিচু করে উঠবে।”
“অহংকার তোমাকে বড় দেখাতে পারে, কিন্তু আল্লাহর কাছে তোমাকে ছোট করে।”
“মানুষ যত বেশি জ্ঞানী হয়, তত বেশি বিনয়ী হয় এটাই ঈমানের নিদর্শন।”
“অহংকার শুধু কাপড় বা সম্পদে নয়, আচরণেও দেখা যায়।”
“এক মুহূর্তের বিনয় হাজার বছরের ইবাদতের চেয়ে মূল্যবান হতে পারে।”
“অহংকারে মানুষ আল্লাহকে ভুলে যায়, আর বিপদে তাঁকেই খোঁজে।”
“আল্লাহ তায়ালা অহংকারীদের নিচে নামিয়ে দেন, আর বিনয়ীদের উঁচু করেন।”
“অহংকারই সেই পর্দা, যা মানুষকে সত্য থেকে বঞ্চিত করে।”
“জ্ঞান অর্জনের পর অহংকার করা মানে আল্লাহর নেয়ামতের অবমূল্যায়ন করা।”
“অহংকারী ব্যক্তি সমাজে একা হয়ে যায়—কারণ আল্লাহও তাকে ত্যাগ করেন।”
“অহংকার এমন একটি রোগ, যা বান্দাকে আল্লাহর নৈকট্য থেকে দূরে সরিয়ে দেয়।”
“অহংকারী ব্যক্তি দ্বীনের আসল সৌন্দর্য দেখতে পায় না, কারণ তার অন্তরে পর্দা পড়ে যায়।”
“সবচেয়ে বড় অহংকার হলো, আল্লাহর দেওয়া নেয়ামতকে নিজের যোগ্যতা বলে মনে করা।”
“যার অন্তরে অহংকার থাকে, সে কখনোই আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আত্মসমর্পণের স্বাদ পায় না।”
“অহংকার হলো প্রথম পাপ, যা ইবলিশকে ফেরেশতাদের মর্যাদা থেকে নামিয়ে শয়তানে পরিণত করেছিল।”
“যখন তুমি ঘর থেকে বের হবে, যাকে দেখবে তাকেই তোমার চেয়ে উত্তম মনে করবে।”
“সফলতার জন্য আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হও, অহংকারী হয়ো না।”
“প্রতিটি নেক আমলকে তুচ্ছ মনে করো, যাতে অহংকার তোমার ইবাদত নষ্ট না করে।”
“বিনয়ী হওয়ার অর্থ হলো, আল্লাহর সামনে নিজেকে ছোট মনে করা এবং মানুষের প্রতি নম্র হওয়া।”
“তোমার সম্পদ বা বংশ মর্যাদা নিয়ে কখনো কাউকে তুচ্ছ করো না, কারণ আল্লাহর কাছে তাকওয়াই শ্রেষ্ঠত্বের মানদণ্ড।”
“অহংকার ত্যাগ করে আল্লাহর কাছে তাওবা করো, তিনিই ক্ষমাশীল।”
“তুমি তোমার অহংকার দিয়ে পর্বতসমান হতে পারো না, বরং বিনয় দিয়েই মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নাও।”
“নিজেকে সবার চেয়ে হীন মনে করা সালাফে সালেহীনদের অভ্যাস ছিল।”
“অহংকার দূর করার জন্য বেশি বেশি আল্লাহর মহত্ত্ব নিয়ে চিন্তা করো।”
অহংকার নিয়ে কুরআনের উক্তি

— সূরা আরাফ ৭:১৪৬
“যারা পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে অহংকার করে, আমি তাদের জন্য আমার নিদর্শনসমূহ দেখা থেকে বিরত রাখব।”
— সূরা নিসা ৪:৩৬
“তুমি নিশ্চয়ই জানো, আল্লাহ অহংকার ও গর্বিত লোকদের ভালোবাসেন না।”
— সূরা নাহল ১৬:২২
“যে অহংকার করে মুখ ফিরিয়ে নেয়, আল্লাহ তাকে ভালোবাসেন না।”
— সূরা ইসরা ১৭:৩৭
“পৃথিবীতে দম্ভভরে চল না, নিশ্চয়ই তুমি পৃথিবী বিদীর্ণ করতে পারবে না, আর পর্বতের উচ্চতায় পৌঁছাতে পারবে না।”
— সূরা গাফির ৪০:৩৫
“যারা নিজেদের শ্রেষ্ঠ মনে করে, তাদের হৃদয় আল্লাহর দিকে নম্র হয় না।”
— সূরা নিসা ৪:৩৭
“আল্লাহ অহংকারীদের দিকে তাকাবেন না এবং তাদের ক্ষমা করবেন না।”
— সূরা আরাফ ৭:৪০
“যারা অহংকার করে, তারা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।”
— সূরা বাকারাহ ২:২০৬
“অহংকার ও দাম্ভিকতা তাদেরকে পাপের পথে টেনে নিয়ে যায়।”
— সূরা গাফির ৪০:৫৬
“যারা অহংকার করে সত্যকে অস্বীকার করে, তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।”
— সূরা মুমিনুন ২৩:৬৭
“তাদের মুখে অহংকার, আর তাদের অন্তরে রয়েছে ঘৃণা।”
— সূরা হাদীদ ৫৭:২৩
“আল্লাহ অহংকারী ও আত্মগর্বিতকে কখনো ভালোবাসেন না।”
— সূরা গাফির ৪০:৭৬
“অহংকারের কারণে যারা সত্য প্রত্যাখ্যান করে, তারা চিরস্থায়ী শাস্তির অধিকারী হবে।”
— সূরা লোকমান ৩১:১৮
“তুমি মুখ ফিরিয়ে নিও না এবং অহংকারের ভঙ্গিতে পৃথিবীতে চলবে না।”
— সূরা লুকমান ৩১:১৮
“যারা নিজেদেরকে অন্যদের চেয়ে বড় মনে করে, তাদের আল্লাহ ভালোবাসেন না।”
— সূরা জুমার ৩৯:৬০
“অহংকারীদের চেহারা কালো হয়ে যাবে।”
— সূরা নাহল ১৬:২৯
“যারা অহংকার করে, তাদের স্থান জাহান্নামে হবে।”
— সূরা বাকারাহ ২:৩৪
“অহংকার মানুষকে সত্য অস্বীকার করতে শেখায়।”
— সূরা নাহল ১৬:২৩
“যে অহংকার করে, আল্লাহ তাকে অপমানিত করেন।”
— সূরা মুজাদিলা ৫৮:১১
“যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে মর্যাদায় উন্নীত করেন।”
“আল্লাহ এমন কোনো দাম্ভিক ও অহংকারীকে পছন্দ করেন না, যে কৃপণতা করে এবং মানুষকে কৃপণতার আদেশ দেয়।” — (সূরা নিসা, ৪:৩৭)
“যারা অহংকারবশত আমার ইবাদত হতে বিমুখ হয়, তারা অবশ্যই লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।” — (সূরা মুমিন/গাফির, ৪০:৬০)
“আর তাদের অন্তর মোহর করে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং তারা শুনতে পায় না।” — (সূরা আরাফ, ৭:১০০)
“যারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে এবং তার ব্যাপারে অহংকার করেছে, তাদের জন্য আসমানের দরজাসমূহ খোলা হবে না…” — (সূরা আরাফ, ৭:৪০)
“এইরূপেই আল্লাহ প্রত্যেক উদ্ধত-স্বেচ্ছাচারী, সীমালঙ্ঘনকারীর হৃদয়ে মোহর মেরে দেন।” — (সূরা মুমিন/গাফির, ৪০:৩৫)
“চলাফেরায় সংযত ভাব অবলম্বন কর এবং কণ্ঠস্বর নীচু কর। স্বরের মধ্যে নিশ্চয়ই গাধার স্বর সর্বাপেক্ষা শ্রুতিকটু।” — (সূরা লুকমান, ৩১:১৯)
“এবং যখন তাকে বলা হয়, ‘আল্লাহকে ভয় করো’, তখন তার অহংকার তাকে পাপের দিকে ঠেলে দেয়।” — (সূরা বাকারা, ২:২০৬)
“যারা সত্য থেকে বিচ্যুত, তারা ব্যতীত অন্য কেউ আল্লাহর আয়াতসমূহ নিয়ে বিবাদ করে না।” — (সূরা মুমিন/গাফির, ৪০:৪)
“এবং অহংকার করে তাদের প্রতি মুখ ফিরিয়ে নিত।” — (সূরা আহকাফ, ৪৬:২৮)
“অতএব তাদের অন্তরগুলো অজ্ঞ, আর তারা অহংকারী।” — (সূরা নাহল, ১৬:২২)
অহংকার নিয়ে হাদিসের উক্তি

“নিশ্চয় আল্লাহ কোনো দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না।” — (সূরা লুকমান, ৩১:১৮)
“তোমাদের প্রতিপালক বলেন, তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। যারা অহংকারে আমার উপাসনায় বিমুখ, ওরা লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।” — (সূরা গাফির/মু’মিন, ৪০:৬০)
“যারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে এবং তার ব্যাপারে অহংকার করেছে, তাদের জন্য আসমানের দরজাসমূহ খোলা হবে না এবং তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যতক্ষণ না উট সূঁচের ছিদ্রতে প্রবেশ করে।” — (সূরা আরাফ, ৭:৪০)
“তুমি তো ভূমণ্ডলকে বিদীর্ণ করতে পারবে না এবং পর্বতের মতো উচ্চতায়ও পৌঁছতে পারবে না।” — (সূরা ইসরা, ১৭:৩৭)
“যারা আল্লাহকে গুরুত্ব দেয়নি, যতটা গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন ছিল।” — (সূরা যুমার, ৩৯:৬৭)
“অহংকার হলো সত্যকে দম্ভের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করা এবং মানুষকে তুচ্ছ জ্ঞান করা।” — (সহীহ মুসলিম, হাদিস নং-৯১)
“তোমরা আল্লাহ্র জন্য বিনয়ী হও, যাতে তোমাদের কেউ যেন কারো ওপর গর্ব না করে এবং কেউ যেন কারো প্রতি বাড়াবাড়ি না করে।” — (সহীহ মুসলিম, হাদিস নং-২৮৬৫)
“যে ব্যক্তি (গর্বভরে) বলে, লোকেরা সব ধ্বংস হয়ে গেল, সে তাদের মধ্যে সর্বাধিক বেশি ধ্বংসোন্মুখ।” — (সহীহ মুসলিম, হাদিস নং-৬৮৫০)
“যে আল্লাহর জন্য বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উচ্চ মর্যাদা দান করেন।” — (সহীহ মুসলিম, হাদিস নং-২৫৮৮)
“আল্লাহ সুন্দর, তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন।” — (সহীহ মুসলিম, হাদিস নং-৯১)
“আল্লাহর রাসূল (সাঃ) অহংকারকে সবচেয়ে অপছন্দ করতেন, যা মানুষকে জান্নাত থেকে বঞ্চিত করে।”
অহংকার নিয়ে ইসলামিক স্ট্যাটাস

“অহংকার শয়তানের প্রথম পাপ; তাই মুমিনের হৃদয়ে এর জায়গা নেই।”
“যে অহংকার করে, সে নিজেকে নয় নিজের ঈমানকেই ছোট করে।”
“বিনয় মানুষকে আল্লাহর কাছে উঁচু করে, অহংকার তাকে নিচে নামিয়ে দেয়।”
“অহংকার মানুষকে অন্ধ করে দেয়, সত্যের আলো তার কাছে পৌঁছায় না।”
“যে অহংকারে ভুগে, সে আল্লাহর রহমত থেকে দূরে সরে যায়।”
“অহংকারীর সবচেয়ে বড় পরাজয়, তার নিজের অহংকারই।”
“অহংকার মানুষকে অপরাধের দিকে ঠেলে দেয়, বিনয় তাকে রক্ষা করে।”
“আল্লাহ অহংকারীকে পছন্দ করেন না; বরং বিনয়ীদের সম্মান দেন।”
“অহংকারী তার আচরণ দিয়ে নিজেকে নয়, নিজের অজ্ঞতাকে প্রকাশ করে।”
“যার অন্তরে অহংকার থাকে, তার দোয়া আকাশে উঠতে চায় না।”
“মানুষ যত আল্লাহকে ভয় করতে শেখে, ততই অহংকার তার হৃদয় থেকে দূরে যায়।”
“সম্পদ ও সৌন্দর্য নয়, বিনয়ই মানুষের আসল সৌন্দর্য।”
“অহংকার তোমাকে বড় মনে করাবে, কিন্তু আল্লাহর কাছে ছোট করে দেবে।”
“যে নিজের ভুল স্বীকার করতে পারে না, সে অহংকারের দাস।”
“অহংকার মানুষকে অন্যকে তুচ্ছ মনে করায়, অথচ আল্লাহর কাছে সবাই সমান।”
“পথ দেখানো মানুষের কাজ, আর অহংকারে পথ হারানো শয়তানের বৈশিষ্ট্য।”
“অহংকারী কখনো শান্তি পায় না, কারণ তার হৃদয় সবসময় ফাঁকা থাকে।”
“মানুষকে ছোট করার মাধ্যমে বড় হওয়া যায় না, এটাই ইসলামের শিক্ষা।”
“নিজের যোগ্যতা নিয়ে গর্ব নয়, আল্লাহর নেয়ামতের জন্য কৃতজ্ঞতা হওয়া উচিত।”
“যে মানুষকে সম্মান দেয় না, তার মাঝে অহংকারের শিকড় লুকিয়ে থাকে।”
“অহংকার মানুষকে মুহূর্তেই আল্লাহর অসন্তুষ্টির দিকে ঠেলে দেয়।”
“যার অন্তরে বিনয় আছে, সে কখনো অহংকারী হতে পারে না।”
“অহংকারের কারণে পৃথিবী হারে, পরকালও হারিয়ে যায়।”
“অন্যকে তুচ্ছ করার নাম অহংকার; নিজেকে সুধরানোর নাম তাকওয়া।”
“যে নিজেকে সবচেয়ে বড় মনে করে, সে আসলে নিজের সবথেকে ছোট শত্রু।”
“যে আল্লাহর সামনে মাথা নত করতে পারে না, সে মানুষের কাছেও সম্মান পায় না।”
অহংকার নিয়ে ইসলামিক ক্যাপশন

“অহংকার আল্লাহর চাদর। বিনয়ী হও, আল্লাহ তোমার মর্যাদা বাড়িয়ে দেবেন।”
“তোমার অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণও অহংকার রেখো না, কারণ এটা জান্নাতের পথে বাধা। “
“তুমি মাটি থেকে সৃষ্ট, তোমার অহংকার মানায় না। আল্লাহর কাছে বিনয়ী হও।”
“অহংকার নয়, বরং বিনয়ী মনই আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে।”
“ক্ষমতা ও সম্পদ নিয়ে গর্ব করো না; মনে রেখো, সবকিছু আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে।”
“অহংকার হলো এক অদৃশ্য আগুন, যা তোমার ভেতরের সব ভালোকে জ্বালিয়ে দেয়। “
“নিজেকে বড় মনে করার চেয়ে, নিজের ভুল স্বীকার করার সাহস রাখাটা অনেক বেশি ঈমানী গুণ। “
“আল্লাহকে ভয় করলে অহংকার করার সাহস জন্মায় না। বিনয়ী হও, সফল হবে। “
“নিজের ভুল স্বীকার করা বিনয়ের লক্ষণ, আর ভুল চেপে যাওয়া অহংকারের ফসল।”
“অন্যের প্রতি দয়াশীল হও, কারণ অহংকার তোমাকে একা করে দেবে। “
“তোমার আচরণই তোমার পরিচয়, তোমার সম্পদ নয়। বিনয়ী আচরণই প্রকৃত মর্যাদা এনে দেয়।”
“অহংকার তোমাকে মানুষের ভালোবাসা থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। ভালোবাসতে হলে বিনয়ী হতে হবে।”
“আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশি অপছন্দের ব্যক্তি সেই, যে নিজেকে সবার চেয়ে শ্রেষ্ঠ মনে করে।”
“তোমার ভাইয়ের সাথে হাসিমুখে কথা বলাও সাদকা, অহংকার করে মুখ গোমড়া করে থেকো না।”
“অহংকারের কারণে কারও প্রতি জুলুম করো না। মনে রেখো, জুলুমের ফল কিয়ামতে অন্ধকার।”
“কথা কম বলে কাজ বেশি করো। তোমার কাজই তোমার অহংকার ভেঙে দেবে।”
“অন্যের সমালোচনা করার আগে নিজের ত্রুটিগুলো দেখো। অহংকার তোমাকে অন্ধ করে দিয়েছে।”
“অহংকার হলো সেই বিষ, যা শয়তান আমাদের হৃদয়ে ঢুকিয়ে দেয়।”
“জীবনের সব অর্জন আল্লাহর পক্ষ থেকে, এখানে অহংকার করার কিছুই নেই।”
“অহংকার করে তুমি হয়তো দুনিয়ায় জিততে পারো, কিন্তু আখিরাতে হার নিশ্চিত।”
“বিনয় হলো সেই দরজা, যা দিয়ে আল্লাহর রহমত তোমার জীবনে প্রবেশ করে।”
“অন্যের ভুল খোঁজা বন্ধ করুন। বরং নিজের বিনয়ী হওয়ার দিকে মনোযোগ দিন।”
“অহংকারমুক্ত জীবনই সত্যিকারের শান্তি ও তৃপ্তি নিয়ে আসে। “
“অহংকারী ব্যক্তি তার নিজের দোষ দেখতে পায় না, কিন্তু অন্যের দোষে সর্বদা দৃষ্টি দেয়।”
অহংকার নিয়ে ইসলামিক মেসেজ
“অহংকারী ব্যক্তি একা থাকে, কিন্তু বিনয়ী ব্যক্তি সবসময় মানুষের ভালোবাসা ও সঙ্গ লাভ করে।”
“তোমার ভাইয়ের সাথে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করো এবং তাকে সম্মান দাও। এটাই অহংকারমুক্ত মনের পরিচয়।”
“ক্ষমতা পেয়ে নিজেকে বড় মনে করা নয়, বরং ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও বিনমা থাকাটাই প্রকৃত ঈমান।”
“অহংকার করে অন্যের সমালোচনা করা বন্ধ করো। নিজের ভুলগুলো সংশোধনের চেষ্টা করো এটাই তোমার জন্য উত্তম।”
“মনে রেখো, আমরা সবাই মাটি থেকে সৃষ্ট এবং একদিন এই মাটিতেই ফিরে যাব। সুতরাং, কিসের এত অহংকার?”
“অহংকার নয়, বরং আল্লাহর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো। কারণ তাঁর সাহায্য ছাড়া তুমি কিছুই করতে পারতে না।”
“অহংকারমুক্ত জীবনই সত্যিকারের শান্তি ও তৃপ্তি নিয়ে আসে। আজ থেকেই বিনয়ী হওয়ার সংকল্প নাও। “
“তোমার বিনয় তোমার সম্পদ নয়, বরং তোমার ঈমানের পরিচায়ক। অহংকার ত্যাগ করো।”
“যে ব্যক্তি অহংকার করে, সে আল্লাহর রহমত থেকে নিজেকে বঞ্চিত করে। আল্লাহর দয়ার মুখাপেক্ষী হও। “
“অহংকার হলো শয়তানের বিষ, যা তোমার ইবাদতকে বৃথা করে দিতে পারে। সবসময় আল্লাহর কাছে পানাহ চাও।”
“অন্যকে তুচ্ছ জ্ঞান করা বন্ধ করো। কারণ আল্লাহ জানেন, কার মর্যাদা তোমার চেয়ে বেশি।”
“অহংকারের কারণে কারও প্রতি জুলুম করো না। মনে রেখো, জুলুমের ফল কিয়ামতের দিন অন্ধকার হয়ে দেখা দেবে। “
“অহংকার করে কখনও মানুষের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিও না। বিনয়ী ব্যবহারই সম্পর্ক মজবুত করে। “
“আল্লাহকে ভয় করো। তোমার সামান্যতম অহংকারও যেন আল্লাহর ক্রোধের কারণ না হয়।”
“অহংকার থেকে তওবা করে আল্লাহর কাছে ফিরে এসো। তাঁর ক্ষমা অসীম এবং তিনি বিনয়ীদের ভালোবাসেন।”
“তোমার উচ্চ মর্যাদা তোমার সম্পদ বা ক্ষমতা নয়, বরং তোমার বিনয় ও তাকওয়ার ওপর নির্ভর করে। বিনয়ী হওয়াই আল্লাহর সন্তুষ্টির পথ।”
“অহংকার নয়, বরং নিজের গুনাহের জন্য লজ্জিত হও। কারণ তোমার সব ভালো কাজ অহংকারের কারণে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।”
“অহংকার হলো এমন এক আগুন, যা তোমার হৃদয়কে পুড়িয়ে দেয় এবং শান্তি কেড়ে নেয়। আল্লাহর জিকিরে হৃদয়কে শান্ত করো।”
“তোমার কথা যেন তোমার আমলের চেয়ে বেশি না হয়। কাজের মাধ্যমে নিজেকে প্রমাণ করো, অহংকারের মাধ্যমে নয়। “
“আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় সে ব্যক্তি, যে বিনয়ী এবং মানুষের প্রতি সদয়। অহংকার ত্যাগ করে তাদের একজন হও।”
“অহংকার করে তুমি হয়তো সাময়িক লাভ দেখতে পারো, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এটি তোমার সম্মান ও আত্মাকে ধ্বংস করবে। “
লেখকের শেষ মতামত
আমরা কোরআন ও হাদিসের আলোকে নিশ্চিত হলাম যে, অহংকার হলো মানব চরিত্রের এক আত্মঘাতী দোষ, যা শুধু আল্লাহ তাআলার সাথে আমাদের সম্পর্কই নষ্ট করে না, বরং জান্নাতের পথেও সৃষ্টি করে দুর্লঙ্ঘ্য বাধা। অহংকার ছিল শয়তানের প্রথম পাপ, আর এই একই পাপ আমাদেরও ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
সুতরাং, আসুন আমরা আজ থেকে দৃঢ় সংকল্প নিই। নিজেদের ভেতরের সামান্যতম অহংকারকেও চিনতে শিখি এবং তাকে উপড়ে ফেলি। বিনয়ই আমাদের জীবনের পথ হোক।
বিনয়ী হোন, নম্র হোন, কারণ আল্লাহর কাছে সবচেয়ে সম্মানিত সে-ই, যে সবচেয়ে বেশি তাকওয়াবান। আল্লাহ আমাদের সকলকে অহংকারমুক্ত জীবন দান করুন। আমিন।