মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ব্যানার, বক্তব্য ও ইসলামিক স্ট্যাটাস ২০২৫

মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা: ১৬ই ডিসেম্বর বাঙালি জাতির জীবনে এটি শুধু একটি তারিখ নয়, এটি আমাদের আত্মমর্যাদা, বীরত্ব এবং রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার প্রতীক। দীর্ঘ নয় মাসের এক ভয়াবহ যুদ্ধ, ত্রিশ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের এই দিনে আমরা পেয়েছিলাম। 

তাই এই দিনটি আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায়। এই পোস্টে আমরা নিয়ে এসেছি বিজয় দিবসের চেতনাকে ফুটিয়ে তোলার জন্য মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ব্যানার, বক্তব্য ও ইসলামিক স্ট্যাটাস। চলুন, শুরু করা যাক সেইসব প্রস্তুতি, যা আমাদের বিজয়কে করবে আরও বেশি অর্থবহ এবং স্মরণীয়!

মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ব্যানার

“মহান বিজয় দিবস: ১৬ ডিসেম্বর অমর হোক!”

“বিজয় আমাদের, স্বাধীনতা আমাদের! “

📌আরো পড়ুন👉১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা কবিতা

“লাল-সবুজের বিজয় গাথা: ১৬ ডিসেম্বর। “

“বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন! “

“সশ্রদ্ধ সালাম সকল শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাকে।”

“রক্তে কেনা স্বাধীনতা, ভুলব না কোনোদিন। “

“মুক্তির উল্লাসে জাগো বাঙালি! শুভ বিজয় দিবস। “

“হৃদয়ে লাল-সবুজ, চেতনায় মুক্তিযুদ্ধ। “

“বিজয় আমাদের অহংকার, স্বাধীনতা আমাদের শক্তি।”

“বীরের জাতি, বীরের সম্মান বিজয় দিবসে তাদের স্মরণ। “

“জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের জানাই সশ্রদ্ধ সালাম। “

“তোমাদের ত্যাগে আজ আমরা স্বাধীন। কৃতজ্ঞ জাতি। “

“দেশ গড়ার প্রত্যয়ে, এগিয়ে চলো বাংলাদেশ। “

“বিজয় হোক আমাদের নিত্যদিনের প্রেরণা। “

“মাথা নত করব না আর, আমরা বিজয়ের জাতি।”

“মহান বিজয়ের মাসে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।”

“মুক্তির আলো ছড়ানো ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।”

“বাংলার স্বাধীনতার গৌরবময় দিন বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।”

“জয় বাংলাদেশের, মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।”

“বিজয়ের মাসে স্বাধীনতার আলো ছড়াক প্রতিটি প্রাণে।”

“মহান বিজয় দিবস, বাংলার অস্তিত্বের অহংকার।”

“লাল-সবুজের জয়গান, মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।”

“১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতার হাসি, গৌরবের প্রতিচ্ছবি।”

“বিজয়ের এই দিনটিতে দেশমাতৃকার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা।”

“বিজয় দিবস মুক্তির ইতিহাসের অমর স্মারক।”

“বাংলাদেশের বিজয়, বীর শহীদদের অমর আত্মত্যাগ।”

“মহান বিজয় দিবস এক গর্বের নাম, এক আবেগের প্রতীক।”

“জয় বাংলা, জয় স্বাধীনতা মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।”

“ধ্বনিত হোক দেশপ্রেম, ১৬ ডিসেম্বরের বিজয়ের শুভেচ্ছা।”

“বিজয়ের মাস, বিজয়ের গান বাংলার চিরন্তন সম্মান।”

“১৬ ডিসেম্বর বীরের রক্তে লেখা স্বাধীনতার দিন।”

“শহীদদের সম্মানে মাথা উঁচু করে দাঁড়াই, বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।”

“বাংলার মাটিতে বিজয়ের হাসি, ১৬ ডিসেম্বরের শুভেচ্ছা।”

“বিজয়ের পতাকা চিরদিন উড়ুক আকাশে।”

“দেশপ্রেমের শক্তি জাগুক, বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।”

“১৬ ডিসেম্বর আমাদের গৌরব, আমাদের বিজয়।”

“মহান বিজয় দিবস স্বাধীনতার আনন্দে ভরে উঠুক প্রতিটি মন।”

“লাল-সবুজের জন্মদিন, বিজয়ের শুভেচ্ছা।”

“গর্বের বাংলাদেশ মহান বিজয়ের গল্প।”

“স্বাধীনতার পতাকার নিচে একটি জাতির গৌরবময় বিজয়।”

“বিজয়ী ডিসেম্বর, শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা সকল বীরদের।”

“স্বাধীনতার আনন্দে রাঙুক ১৬ ডিসেম্বর।”

“মহান বিজয় দিবস অভিনন্দন বাংলাদেশ।”

“বিজয়ের উল্লাসে দেশ হোক একতাবদ্ধ।”

“শহীদদের ত্যাগ ভুলব না শুভ বিজয় দিবস।”

“আমার সোনার বাংলা বিজয়ের গর্বে আলোকিত।”

“১৬ ডিসেম্বর অগ্নিজয়ী বীরদের বিজয়ের দিন।”

“গৌরবের ১৬ ডিসেম্বর শুভ বিজয় দিবস বাংলাদেশ।”

“বিজয়ের শিহরণ জাগুক প্রতিটি হৃদয়ে।”

“স্মরণে শহীদ, গর্বে অনন্য মহান বিজয় দিবস।”

“১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতার অমর মহিমা, বিজয়ের সালাম।”

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা পোস্টার

“১৬ ডিসেম্বর – মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।”

“জয় বাংলা! ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের শুভেচ্ছা।”

📌আরো পড়ুন👉বিজয় মাসের শুভেচ্ছা ক্যাপশন

“লাল-সবুজের গৌরবঘেরা বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।”

“স্বাধীনতার বিজয়গাথা শুভ ১৬ ডিসেম্বর।”

“বাংলাদেশের গর্ব, আমাদের বিজয় দিবস।”

“বিজয়ে ভরা ১৬ ডিসেম্বর শুভেচ্ছা রইল।”

“জয় বাংলাদেশের শুভ বিজয় দিবস।”

“লাল-সবুজ পতাকার মহিমায় উদযাপিত হোক বিজয়।”

“শ্রদ্ধা বীর শহীদদের শুভ বিজয় দিবস।”

“১৬ ডিসেম্বর অস্তিত্বের গর্ব, স্বাধীনতার হাসি।”

“শুভ মহান বিজয় দিবস বাংলার গৌরব।”

“বিজয়ের মাস, বিজয়ের দিন ১৬ ডিসেম্বর।”

“বীরের রক্তে অর্জিত স্বাধীনতার উৎসব বিজয় দিবস।”

“বাংলার বীরদের সালাম শুভ ১৬ ডিসেম্বর।”

“স্বাধীনতার সুবাতাস ছড়াক শুভ বিজয় দিবস।”

“১৬ ডিসেম্বর জয় আর গৌরবের প্রতীক।”

“গর্বে মাথা উঁচু হোক বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।”

“আমার বাংলাদেশ আমার বিজয়।”

“বিজয়ের সূর্যোদয় ১৬ ডিসেম্বর।”

“শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা শুভ বিজয় দিবস।”

“লাল-সবুজের জন্মদিন শুভ ১৬ ডিসেম্বর।”

“বিজয়ের পতাকা চিরদিন উড়ুক।”

“গৌরবময় ইতিহাসের দিন বিজয় দিবস।”

“১৬ ডিসেম্বর বাংলার বিজয় উৎসব।”

“দেশপ্রেমের দিন শুভ বিজয় দিবস।”

“বাংলাদেশের বিজয় বীরের অমর আত্মত্যাগ।”

“চিরন্তন স্বাধীনতা চিরন্তন বিজয়।”

“জয় বাংলা বিজয়ের চেতনায় উজ্জ্বল হোক মন।”

“১৬ ডিসেম্বর শহীদের রক্তে লেখা স্বাধীনতা।”

“মহান বিজয়ের আলোয় আলোকিত হোক প্রতিটি হৃদয়।”

“বিজয়ের উল্লাসে ভরে উঠুক দেশমাতৃকা।”

“গর্বের বাংলাদেশ শুভ বিজয় দিবস।”

“বিজয়ের চেতনায় এগিয়ে যাক বাংলাদেশ।”

“১৬ ডিসেম্বর গৌরবের আলো, স্বাধীনতার জয়।”

“শুভেচ্ছা বিজয়ের শ্রদ্ধা সব বীরের।”

“আজ স্বাধীনতার আনন্দ, বিজয়ের গান।”

“বাংলার বিজয় আমাদের পরিচয়।”

“শুভ ১৬ ডিসেম্বর বাংলার লাল-সবুজ বিজয় উৎসব।”

মহান বিজয় দিবসের ইসলামিক স্ট্যাটাস

“আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহর রহমতেই ১৬ ডিসেম্বর আমরা পেয়েছি স্বাধীনতার বিজয়।”

“শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি, শুভ মহান বিজয় দিবস।”

📌আরো পড়ুন👉বিজয় মাসের শুভেচ্ছা উক্তি

“আল্লাহ যাদের সাহস দান করেন, তারাই সত্যের পথে বিজয়ী হয়, শুভ বিজয় দিবস।”

“বিজয় দিবসে দোয়া, আল্লাহ আমাদের দেশকে শান্তি ও নিরাপত্তা দান করুন।”

“এই বিজয় আল্লাহর পক্ষ থেকে এক নেয়ামত শুকরিয়া হে আল্লাহ।”

“দোয়া করি, আল্লাহ আমাদের দেশকে হেফাজত করুন শুভ বিজয় দিবস।”

“শহীদদের ত্যাগ আল্লাহ কবুল করুন বিজয়ের সালাম রইল।”

“আল্লাহ আমাদের দেশ থেকে জুলুম, অন্যায় ও অশান্তি দূর করুন বিজয় দিবস।”

“বিজয়ের এই দিনে স্মরণ করি সকল শহীদদের। আল্লাহ তাদের জান্নাত নসিব করুন।”

“১৬ ডিসেম্বর একটি স্বাধীনতার নেয়ামত; আলহামদুলিল্লাহ।”

“দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য দোয়া করি মহান বিজয় দিবস।”

“আল্লাহর রহমতেই আমরা স্বাধীন, তাঁর পথেই ফিরি শুভ বিজয় দিবস।”

“শহীদদের আত্মত্যাগ আমাদের জন্য ইবাদতের শিক্ষা ১৬ ডিসেম্বর।”

“আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদের দেশকে ফিতনা-ফ্যাসাদ থেকে রক্ষা করেন।”

“বিজয়ের দিনে দোয়া সত্য ও ন্যায়ের পথে চলার তাওফিক দান করুন হে আল্লাহ।”

“বিজয় দিবসে দোয়া করি, আল্লাহ আমাদের দেশকে বরকত দান করুন।”

“আল্লাহর কাছে প্রার্থনা, বাংলাদেশকে সুস্থিত ও নিরাপদ রাখুন।”

“বিজয় দিবস আমাদের তাওহিদের পথে সাহসী হতে শেখায়।”

“১৬ ডিসেম্বর আল্লাহর দেওয়া স্বাধীনতার নেয়ামত স্মরণ করার দিন।”

“বিজয় দিবসে দোয়া মানুষের হৃদয়ে যেন ন্যায় ও দয়া প্রতিষ্ঠিত হয়।”

“আল্লাহর রহমত ছাড়া কোনো বিজয় সম্ভব নয় আলহামদুলিল্লাহ।”

“দোয়া করি, আল্লাহ আমাদের নেতাদের হিদায়েত দান করুন শুভ বিজয় দিবস।”

“বিজয়ের এই দিনে আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি।”

“আল্লাহ শহীদদের প্রতি রহমত বর্ষণ করুন ১৬ ডিসেম্বর।”

“আমাদের দেশকে অন্যায়, জুলুম ও পাপ থেকে আল্লাহ হেফাজত করুন।”

“দোয়া করি, বাংলাদেশকে আল্লাহ নেক পথে পরিচালিত করুন।”

“শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিজয় দিবস পালন করি।”

“বিজয়ের এই দিনে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা তিনি স্বাধীনতা দান করেছেন।”

“আল্লাহ আমাদের দেশকে ন্যায় ও নৈতিকতার পথে ফিরিয়ে আনুন।”

“বিজয় দিবসে দোয়া করি, আল্লাহ আমাদের হৃদয়ে দেশপ্রেম ও মানবতা জাগ্রত করুন।”

“এই স্বাধীন দেশে আমরা যেন ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে পারি, আল্লাহ্ সেই শক্তি দিন। “

“আসুন, বিজয়ের এই দিনে আমরা দেশকে আরও সুন্দর ও ইনসাফপূর্ণ করার শপথ নেই। “

“আমরা যেন ইসলামের আলোকে একটি আদর্শ ও শান্তিময় বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি। “

“আল্লাহ্‌র নির্দেশিত পথে চলেই আমরা এই বিজয়ের মর্যাদা রক্ষা করতে পারব। “

“আল্লাহ্ আমাদের জাতীয় ঐক্য ও সংহতি বজায় রাখার তৌফিক দিন। “

“আমাদের যুব সমাজ যেন দ্বীন ও দেশের কল্যাণে কাজ করে। আল্লাহ্ তাদের কবুল করুন। “

“এই বিজয় যেন আমাদের ইহকাল ও পরকালের জন্য কল্যাণকর হয়। “

“আল্লাহ্ আমাদের মাঝে ভ্রাতৃত্ববোধ বাড়িয়ে দিন এবং হিংসা-বিদ্বেষ দূর করুন। “

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের বক্তব্য

মহান বিজয় দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য (সর্ব সাধারণের জন্য)

মাননীয় সভাপতি, মঞ্চে উপবিষ্ট অতিথিবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষিকা মণ্ডলী, শ্রদ্ধেয় অভিভাবকবৃন্দ এবং আমার দেশের দেশপ্রেমিক ভাই ও বোনেরা—আসসালামু আলাইকুম/শুভ সকাল।

আজ ১৬ই ডিসেম্বর। এটি আমাদের বুক ফুলিয়ে বাঁচার দিন, মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার দিন। আজ আমি এখানে কোনো বড় নেতার গুণগান গাইতে আসিনি; আমি এসেছি একজন সাধারণ বাংলাদেশি হিসেবে, আমার হৃদয়ের গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে। এই মহান দিনে, আমি সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করি সেই বীর শহীদদের, যারা নিজেদের জীবন দিয়ে আমাদের জন্য এই স্বাধীন পথ তৈরি করে গেছেন।

১৯৭১ সালে যারা নিজেদের বর্তমানকে বিসর্জন দিয়েছিলেন আমাদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য, সেই সকল নাম-না-জানা শহীদ এবং অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি জানাই আমার বিনম্র শ্রদ্ধা। তাঁরা কোনো দলের জন্য যুদ্ধ করেননি, তাঁরা যুদ্ধ করেছিলেন এই মাটির জন্য, আমাদের পতাকার জন্য এবং একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশের জন্য। আসুন, আমরা সবাই সেই মহান ত্যাগের প্রতি সম্মান জানাই।

স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর আজ আমাদের নিজেদের প্রশ্ন করার সময় এসেছে—আমরা কি সেই স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে পেরেছি। মনে রাখবেন, শুধু বছরে একদিন পতাকায় ফুল দেওয়াই কিন্তু দেশপ্রেম নয়। আসল মুক্তিযুদ্ধ হলো অন্য কিছু। আপনি যখন আপনার কাজটা সততার সাথে করেন, যখন অন্যায় দেখে প্রতিবাদ করেন এবং যখন দেশের সম্পদ নিজের মনে করে রক্ষা করেন—সেটাই হলো আসল মুক্তিযুদ্ধ। আমাদের সেই চেতনা ধারণ করতে হবে।

আসুন, আজ আমরা শপথ নিই—আমরা সকল বিভাজন ভুলে, হিংসা ভুলে মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়াব। শহীদের রক্ত তখনই সার্থক হবে, যখন আমরা এই দেশকে সকল প্রকার দুর্নীতিমুক্ত এবং নিরাপদ হিসেবে গড়ে তুলতে পারব। এই হোক আমাদের আজকের দিনের প্রধান অঙ্গীকার। 

সবাই ভালো থাকবেন। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

বিজয় দিবসের বক্তব্য (BNP-এর জন্য বিশেষায়িত)

আসসালামু আলাইকুম।

সম্মানিত সভাপতি, মঞ্চে উপবিষ্ট জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দ এবং আমার সামনে উপস্থিত জাতীয়তাবাদী শক্তির অকুতোভয় সৈনিক ভাই ও বোনেরা,

আজ ১৬ই ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল দিন এটি। আজকের এই দিনে আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সেই ৩০ লক্ষ শহীদ এবং ২ লক্ষ মা-বোনের আত্মত্যাগ, যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন মানচিত্র, একটি লাল-সবুজ পতাকা। তাদের এই আত্মদান আমাদের চিরন্তন অনুপ্রেরণা।

প্রিয় ভাই ও বোনেরা, ১৯৭১ সালে যখন জাতি দিশেহারা, ঠিক সেই ক্রান্তিলগ্নে চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে ভেসে এসেছিল একটি বজ্রকঠিন স্বর— “আমি মেজর জিয়া বলছি…”। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার সেই ঘোষণা কেবল একটি ঘোষণা ছিল না, সেটি ছিল ঘুমন্ত জাতিকে জাগিয়ে তোলার এক জাদুর কাঠি। আমরা বিনম্র চিত্তে সেই দুঃসাহসী ভূমিকা এবং সকল বীর মুক্তিযোদ্ধার ত্যাগকে স্মরণ করি।

তাঁর সেই আহ্বানেই আপামর জনতা অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল, ঝাঁপিয়ে পড়েছিল রণাঙ্গনে। তাই আজকের এই বিজয় দিবসে দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই— স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়া এবং বাংলাদেশের বিজয় একই সূত্রে গাঁথা। জিয়াকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস রচনা করা অসম্ভব। আমরা গর্বের সাথে আমাদের এই সত্য ইতিহাস ধারণ করি।

সংগ্রামী সাথীরা, আমরা যুদ্ধ করেছিলাম গণতন্ত্রের জন্য, সাম্যের জন্য এবং মানবিক মর্যাদার জন্য। কিন্তু আজ প্রশ্ন জাগে মনে— সেই গণতন্ত্র কি আজ সুরক্ষিত? আজ যখন আমরা বিজয়ের গান গাই, তখন আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। কারণ, যার হাত ধরে এই দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, সেই ‘মাদার অফ ডেমোক্রেসি’, আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দীর্ঘ সময় ধরে মিথ্যা মামলায় কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে, তাকে সুচিকিৎসা থেকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে। এই চিত্র আমাদের হতাশ করে।

বিজয় দিবসের এই শুভক্ষণে আমাদের নতুন করে শপথ নিতে হবে—যে আদর্শের ওপর ভিত্তি করে শহীদ জিয়াউর রহমান এই দলের গোড়াপত্তন করেছিলেন, সেই ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ’কে হৃদয়ে ধারণ করে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব। আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে, আমাদের ধমনীতে শহীদ জিয়ার রক্ত আর আমাদের চেতনায় দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মহান ত্যাগ।

বন্ধুগণ, আজকের এই বিজয়ের দিনে আমাদের দৃষ্টি স্থির থাকুক আগামীর পানে। দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি সুদূর প্রবাসে থেকেই আমাদের সঠিক পথের দিশা দিচ্ছেন একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য। কোনো অপশক্তিই কখনো জাতীয়তাবাদী শক্তিকে স্তব্ধ করে দিতে পারবে না।

আসুন, আজকের এই পবিত্র দিনে আমরা নতুন করে এই শপথ গ্রহণ করি— যতদিন পর্যন্ত না এই দেশে পূর্ণাঙ্গ গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হচ্ছে, ততদিন আমরা রাজপথ ছেড়ে যাব না। আমরা আমাদের শহীদদের পবিত্র রক্তকে কিছুতেই বৃথা যেতে দেব না। ইনশাআল্লাহ, ধানের শীষের বিজয়ের মাধ্যমেই আমরা আমাদের বহুদিনের কাঙ্ক্ষিত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সফল হব।

সবাই ভালো থাকবেন। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

লেখকের শেষ মতামত

পরিশেষে, আমি আবারও আমাদের সকল শহীদ, মুক্তিযোদ্ধা এবং দেশপ্রেমিকদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও অশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে আমার বক্তব্য শেষ করছি। আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। মহান বিজয় দিবস অমর হোক!

Leave a Comment